ব্ল্যাক ক্যাস্টর অয়েল
ব্ল্যাক ক্যাস্টর অয়েল নামটা আমরা অনেকেই হয়তো জানি। আজ জানবো এর গুণাগুণ ও উপকারীতা। । তবে চলুন জেনে নিই এই তেলে কি রয়েছে। হালকা খয়েরি রঙের টেক্সচারের এই তেলের নিয়মিত ব্যবহার চুলের ওপর একটি প্রটেক্টিভ লেয়ার তৈরি করে, যাতে করে বাইরের ধুলাবালি আর দূষণে সৃষ্ট ক্ষতি থেকে চুল রক্ষা পায়। আমার চুল পড়া কমিয়ে চুলের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে দিতে একদম ম্যাজিকের মত কাজ করেছে এই তেল। সন্ধ্যায় মাসাজ করে সারা রাত রেখে পরের দিন শ্যাম্পু করে ফেলুন, চুলের সফট আর বাউন্সিভাব ফিরে আসবে অনায়াসেই। এই তেলে রয়েছে ভিটামিন ই, মিনরেলস, প্রোটিন, এসেন্সিয়াল ফ্যাটি এসিড যা চুল পড়া রোধ করার সাথে সাথে নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। চুল পড়ার একটি অন্যতম কারণ হলো স্ক্যাল্পের ইনফেকশন এবং ডিসঅর্ডার। ব্যাক্টেরিয়া, ফাঙ্গাস স্ক্যাল্পকে আক্রান্ত করে দিনে দিনে চুল ঝরাকে বাড়িয়ে দেয় এবং চুলের বৃদ্ধিকে হ্রাস করে।ব্ল্যাক ক্যাস্টর অয়েলের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল প্রপার্টিস স্ক্যাল্পের ইনফেকশন প্রতিরোধে সাহায্য করে যা চুল পড়া কমিয়ে আনে অনেকাংশে।ক্যাস্টর অয়েল সহজেই স্ক্যাল্পে শোষিত হয়। ফলে স্ক্যাল্পের ময়েশ্চার এবং নিউট্রিশনের ব্যালেন্স ঠিক থাকে যা চুলের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে।
ব্যবহারবিধি
ব্ল্যাক ক্যাস্টর অয়েল খুব ঘন তাই এটি চুলে লাগানোর পূর্বে রেগুলার চুলের তেল কোকোনাট অয়েল/অলিভ অয়েল/আমন্ড অয়েল/নিম তেল এর সাথে মিশিয়ে ডাবল বয়েলিং প্রসেসে গরম করে লাগালে ভাল ফল পাওয়া যায়। স্ক্যাল্পে ভালো মতো ম্যাসাজ করে কমপক্ষে ২ ঘণ্টা রাখতে হবে। সম্ভব হলপ সারারাত রেখে সকালে শ্যাম্পু কন্ডিশনার করে নিবেন।২/৩ মাস ব্যবহারেয় বুঝতে পারবেন চুলের উন্নতি। সপ্তাহে অন্তত দুদিন
এক চা চামচ মধু+ দুই চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল+ একটি ডিম + আমলকি ভালো মতো মিশিয়ে চুলে ভালো মতো লাগান। এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন
ব্ল্যাক ক্যাস্টর অয়েল+তিলের তেল + অলিভ অয়েল ডাবলবয়েলিং প্রসেসে গরম করে চুলে মাসাজ করলে চুল দ্রুত বাড়ে।