রক্তচন্দন যার বৈজ্ঞানিক নাম : Pterocarpus santalinus। এটি রূপচর্চায় ব্যবহৃত প্রাচীনতম উপাদাব।যার কদর ভারতীয় উপমহাদেশে সেই প্রাচীন কাল থেকে।রেডনেস, ড্রায়, অয়েলি,পিগমেন্টশন,পিম্পল প্রোন সব টাইপের স্কিনের জন্য এটি উপকারি।রক্তচন্দনের ফেইসপ্যাক ব্রন,ব্রনের দাগ,পিগমেন্টশন দূর করতে সাহায্য করে।এটি বয়সের ছাপ কমাতেও উপকারি।পোরস টাইটেনিং,আনইভেন স্কিনটোন ইভেন করতেও এর বেশ কার্যকারীতা আছে।
ব্যবহার
১। বলি রেখা দূর করে:
চন্দন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমূহের সমন্বয়ে গঠিত যা ত্বকে বলিরেখা পরতে বাধা দেয়।নিয়মিত চন্দন ব্যবহারে বলিরেখা দূর হয়।
প্যাক রক্তচন্দন+মুলতানি মাটি+শসার রস+মন্জিস্ঠা।
২। রোদে পোড়া দাগ দূর করে:
শসার রস, রক্তচন্দনের গুঁড়ো, দই ও গোলাপ জল একসাথে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে রোদে পোড়া ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। রোদে পোড়া ভাব দূর করতে এই প্যাকটি খুব কার্যকারী
৩। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়:
মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য কাস্তুরি হলুদ এক চিমটি,ডালিমের খোসা গুড়ো ও রক্তচন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল হবে।
৪। ডার্ক সার্কেল দূর করে:
চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল হলে অল্প পরিমাণ রক্তচন্দনের গুরার সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে চোখের চারপাশে লাগান। সারারাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। এতে চোখের চারপাশের কালো দূর হয়ে যাবে।
৫। মুখের দাগ দূর করে:
ডিমের কুসুম বা মধু, ও রক্তচন্দন গুঁড়া একসাথে পেস্ট মিক্সড করে লাগালে মুখের দাগ দূর হয়।
৬।ব্রন দূর করতে:
মুলতানি মাটি+রক্তচন্দন+নিম+কাস্তুরি হলুদ+তুলসি+গ্রিনটি ব্যাগ ভিঝানো পানি দিয়ে তৈরী প্যাক ২০ মিনিট সপ্তাহে দুদিন।