অশ্বগন্ধা
আপনি যদি আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় বিশ্বাসী দের কাছে অশ্বগন্ধার খুব পরিচিত ভেষজ। আর কেনই বা নয়? অশ্বগন্ধা হচ্ছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আয়ুর্বেদী ভেষজ। ভারতীয় চিকিৎসা শাস্ত্রের ইতিহাসে এটিকে ‘‘অত্যাশ্চর্য ভেষজ’’ বা অ্যাডাপ্টোজেন (মানসিক চাপ মুক্তির এজেন্ট) বলা হয়।অশ্বগন্ধা নামটি এসেছে অশ্ব বা ঘোড়া এবং গন্ধা বা গন্ধ থেকে। চলুন জেনে নেওয়া,যাক ত্বক ও চুলের যত্নে এর উপকারিতা।
ত্বকের যত্নে
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এর ভূমিকা অপরিসীম। কারণ এতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট প্রোপার্টিজ রক্ত চলাচলে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সাথে চেহারায় বয়সের ছাপ বা বলিরেখা দূর করে।শুষ্জ ত্বকে ময়েশ্চরাইজড করে। অশ্বগন্ধা নিয়মিত সেবনে ত্বকের কোমলতা বৃদ্ধি পায়। কারন অশ্বগন্ধা মশ্চারাইজার সমৃদ্ধ। আয়ূর্বেদ শাস্ত্রে ত্বকের শুস্কতাসহ, পোড়া, কাটা ছেড়ায় অশ্বগন্ধা পাউডার ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে শুষ্ক ত্বকের যেকোন প্রসাধনীতে অশ্বগন্ধা ব্যবহার করা হয়। কারন ত্বককে নিরাময় করার শক্তি অশ্বগন্ধায় প্রচুর।
প্যাক অশ্বগন্ধা পাউডার+মুলতানি মাটি+গোলাপ গুড়ো+পানি।প্যাকটি ২০ মিনিট ফেইসে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।এতে ব্রন,ব্রনের দাগ, রিংকেলস দূর হয়।
চুলের যত্নে অশ্বগন্ধা
চুলের যত্নে অশ্বগন্ধার রয়েছে জাদুকরী ভূমিকা। মাথার ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করার মাধ্যমে চুলের গোড়া মজবুত করে। স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য ফলিসেল গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা অশ্বগন্ধায় ভরপুর।বর্তমানে আমাদের বড় সমস্যা চুল পড়া। অশ্বগন্ধা হচ্ছে সুপার হেয়ার টনিক চুল পড়ার সমস্যা সমাধানে। এর এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং হরমোন ব্যালেন্সসিং সিস্টেম কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। চুল পাকা রোধ করে।
প্যাক অশ্বগন্ধা+আমলকি+বহেরা+আ্যালোভেরা জেল।চুলের সাইজ অনুযায়ী, সব গুলো উপকরণ সমপরিমানে নিয়ে প্যয়ক তৈরী করে চুলে লাগিয়ে রাখুন ৪৫ মিনিট।এরপর চুল শ্যাম্পু করুন।