Chia Seed
চিয়া বীজ কে বলা হয় সুপার ফুড।সাধারণত পুষ্টিগুণে ঠাসা উদ্ভিজ্জ খাদ্য বস্তু যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপযোগী, তাদের বলা হয় SUPERFOOD। চিয়া বীজ হল এমনি একটি SUPERFOOD, যা বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।এতে রয়েছে ওমেগা-৩ জাতীয় ফ্যাটি অ্যাসিড যে কারণে এটি হার্টের পক্ষে খুব ভালো। এটি আমাদের রক্তে HDL cholesterol বাড়ায় যা শরীরের জন্য ভালো। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে রয়েছে প্রোটিন ও ফাইবার। রয়েছে আয়রন এবং ক্যালসিয়ামও।
এক আউন্স বা ৩০ গ্রাম (প্রায়) চিয়া বীজে রয়েছে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৮.৫ গ্রাম ফ্যাট, ১১ গ্রাম ফাইবার, ১৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট (যার মধ্যে ১১ গ্রাম হল ফাইবার)।
দৈনিক এক আউন্স চিয়া বীজ খেলে ১৮% কালসিয়ামের চাহিদা, ২৭% ফসফরাসের চাহিদা এবং ৩০% ম্যাঙ্গানিজের চাহিদা পূরণ হতে পারে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান গুলি পর্যাপ্ত পরিমাণে খাই না, সেক্ষেত্রে এই চিয়া বীজ খুবই উপকারী।
এই কারণে যারা ওজন কমাতে চান, বা রক্তে সুগারের সমস্যায় ভুগছেন বা যাদের হার্টের সমস্যা আছে তারা দিনে ১ টেবিল চামচ (১০ গ্রাম) করে চিয়া বীজ খেতে পারেন।
১.এতে উপস্থিত ফাইবার অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেটে থাকে, ফলে খিদে অনেক দেরিতে পায়, এবং অন্যান্য খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমায় যা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে উপযোগী।চিয়া বীজ পাচনতন্ত্রের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, এবং খাদ্যতালিকাগত ফাইবারের উচ্চতর উপাদানের কারণে অন্ত্রের খাবারের শোষণকে উন্নত করে।
২.চিয়া বীজ উভয় লিঙ্গ ইকুটি বাড়া, ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ, এবং রক্তে ক্ষতিকারক কলেস্টেরল সংক্রমণ প্রতিরোধ করে, চিয়া বীজে প্রচুর মাত্রায় ওমেগা-3 থাকার কারণে আমাদের শরীরের কোলেস্টরল কে কমিয়ে আনতে বিশেষ সহায়ক।
৩.চিয়া বীজ শরীরকে অস্টিওপরোসিস প্রতিহত করতে সাহায্য করে, এতে থাকা উচ্চ মাত্রার ক্যালশিয়াম আমাদের হাঁড়ের মজবুতি আনে সাথে দাঁতের স্বাস্থ্যও ভালো রাখতে সহায়তা করে| তাই যদি আপনি আপনার হাঁড়ের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে চান তাহলে চিয়া বীজকে রোজ আপনার ডায়েটে সামিল করুন যাতে আপনার শরীরের ক্যালশিয়ামের মাত্রাও বজায় থাকবে|চিয়া বীজ হৃদরোগের কার্যকারিতা জোরদার করে, রক্তচাপ উন্নত করে, ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করে এবং রক্তে কোলেস্টেরলের উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে, এইভাবে ধমনমনীয় ও বাধাগুলিতে চর্বি জমা হওয়ার সমস্যাগুলি রোধ করে। রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয়, কারণ এটি হজম প্রক্রিয়াটিকে গতিশীল করে, এছাড়া আমাদের রক্তে ইনসুলিনের মাত্রাকে সঠিক ভাবে বজায় রাখতে সহায়তা করে থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য একটি ভালো ওষুধের মতো কাজ করে থাকে|প্রোটিনে সমৃদ্ধ তাই মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটায়, আমাদের নার্ভ সিস্টেম কে মজবুত করে ভুলে যাওয়ার মতো সমস্যা থেকে এটি আমাদের দূরে রাখতে সহায়তা করে| এবং বিষণ্নতা হ্রাস করে কারণ এরা ট্র্যাপফোফ্যান ধারণ করে।এই সুপারফুড টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ তাই এটি সবরকমের অসুখের সাথে লড়াই করবার জন্য শক্তি জুগিয়ে থাকে| ক্যান্সার এর চিকিৎসার ক্ষেত্রেও এটি বেশ ভালো সহায়তা করে থাকে, বীজের ভিতর থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষতিকর জীবাণুর থেকে শরীরকে রক্ষা করে থাকে।
খাবার নিয়ম
চিয়া বীজ যে কোনো খাবারের মধ্যেই একটু ছিটিয়ে দিয়ে খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়। এছাড়া ফ্রুট সালাদ অথবা ভেজিটেবল সালাদের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
খালি পেটে সকালে ১গ্লাস পানির মধ্যে চিয়া বীজ এবং লেবু মিশিয়ে খাওয়া যায়, স্মুথির সাথে খাওয়া যায়।
বাচ্চাদের খাবারের উপর ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।
পানি দিয়েও সরবত করে খেতে পারেন।